Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

পরিচিতি ও উদ্দেশ্য

বিল্ডিং ক্লাইমেট রেসিলিয়েন্ট লাইভলিহুড ইন দি ভালনারেবল ল্যান্ডস্ক্যাপেস ইন বাংলাদেশ (বিসিআরএল)

 

প্রকল্প পরিচিতি

পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথভাবে বাস্তবায়নাধীন Building Climate Resilient Livelihoods in Vulnerable Landscapes in Bangladesh শীর্ষক কারিগরী সহায়তা প্রকল্পটি Environment Facility (GEF) এর অনুদানে মোট ৭৬.০৫৯৬ কোটি (ছিয়াত্তর কোটি পাঁচ লক্ষ ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে জুলাই ২০২৩ হতে জুন ২০২৮ পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১. প্রকল্পের পটভূমি:

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ও অভিযোজনের মাধ্যমে কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার লক্ষ্যে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সংগঠিত চরম আবহাওয়া দুর্যোগজনিত ঘটনার ক্রমবর্ধমান তীব্রতা বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বিপদান্নতা প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে তুলছে। বৈজ্ঞানিক তথ্য মতে, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা না গেলে অদূর ভবিষ্যতে চরম আবহাওয়া দুর্যোগসমূহ আরো ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে যা আমাদের ক্ষয় ক্ষতিকে বহুলাংশে বাড়িয়ে তুলবে। সীমিত সম্পদ, অপর্যাপ্ত কারিগরি জ্ঞান, সীমিত অভিযোজন সক্ষমতা, এবং আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির অভাব বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল বিশেষ করে বরেন্দ্র অঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম, লবণাক্ত ও জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকাগুলোতে দরিদ্র ও পরিবেশগত ক্ষয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে উল্লেখিত জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শক্তিশালী অভিযোজন ব্যবস্থা, আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, বাজার সংযোগ এবং কার্যকরী কৃষি ভ্যালু চেইন প্রতিষ্ঠা, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু প্রতিরোধক জীবিকা এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করা। উক্ত প্রকল্পের কার্যক্রমগুলি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, এবং বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়া, প্রকল্পটি টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১, ২, ৫, ৬, ৭ ও ১৩ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ (এসডিজি ১ - দারিদ্র বিমোচন; এসডিজি ২- ক্ষুধা মুক্তি; এসডিজি ৫- জেন্ডার সমতা; এসডিজি ৬- নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন; এসডিজি ১৩- জলবায়ু কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

 

২. (ক) উদ্যোগী মন্ত্রণালয়:            পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

    (খ) বাস্তবায়নকারী সংস্থা:        পরিবেশ অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ।            

৩.   প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাল: জুলাই, ২০২৩ থেকে  জুন, ২০২৮।

৪. বিসিআরএল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হচ্ছে:

”জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ, সম্প্রদায় ও বাস্তুতন্তের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করা এবং বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সমন্বিত পদ্ধিতির মাধ্যমে জীবিকা উন্নত করা” (To improve the resilience of vulnerable people, communities, and ecosystems to climate change, and improve livelihoods through integrated approaches in the vulnerable areas of Bangladesh)

বিসিআরএল প্রকল্পের নিম্নবর্ণিত ০৪টি কম্পোনেন্ট রয়েছে:

  • Component-1: Strengthen national capacities for integration of adaptation measures in agriculture sector planning, budgeting, and policy processes (led by DoE)
  • Component-2: Demonstrate and scale up climate adaptation solutions in targeted landscapes (led by DAE)
  • Component-3: Scale-up investments for effective adaptation in selected value chains (led by DAE)    
  • Component-4: Enable effective knowledge management, and Monitoring, Evaluation and Learning (MEL) (led by DoE)

৫.  প্রকল্প এলাকা:

অঞ্চল

উপজেলা

জেলা

বরেন্দ্র অঞ্চল

নাচোল, গোদাগাড়ী এবং ভোলাহাট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী

লবনাক্ত / জলাবদ্ধতা প্রবণ অঞ্চল

পাইকগাছা, ডুমুরিয়া এবং বটিয়াঘাটা

খুলনা

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল

মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর এবং কাউখালী 

রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি

 

৬. প্রকল্পের মূল কার্যক্রম/আউটপুট:

এই প্রকল্পের আওতায় নিম্মলিখিত আউটপুট অর্জিত হবে:

ক) সমস্ত প্রাসঙ্গিক সরকারী মন্ত্রণালয় বা সংস্থাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে, নীতি, পরিকল্পনা এবং কৃষির জন্য অভিযোজনে সমন্বিত  বিনিয়োগ প্রসারিত করা।

খ) জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষির জন্য অর্থায়নকে গতিশীল করার লক্ষে উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ, বিনিয়োগের মডেল এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাকে জোরদার করা।

গ) গ্রাম পর্যায়ে জলবায়ু বিপদান্নতা, ঝুঁকি মূল্যায়ন, এবং অভিযোজন অগ্রাধিকার পর্যালোচনা করা।

ঘ) সম্প্রসারণ পরিষেবা এবং কৃষকের মাঠ স্কুলের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীল কৃষি সম্পর্কে কৃষকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা।

ঙ) উন্নত বীজ, অন্যান্য ইনপুট এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা স্থানান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু-সহনশীল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

চ) প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং কৃষি সম্পদের উপর কৃষকের মালিকানার জোরদার করা।

ছ) কৃষকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য কৃষি-আবহাওয়া/জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ ব্যবহার করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

জ) উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রয় ত্বরান্বিত করার জন্য কৃষক সংগঠন এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা।

ঝ) উদ্যোক্তাদের জন্য মূল্য সংযোজন সুযোগ তৈরি করতে শস্য সরবরাহ শৃঙ্খলে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।

ঞ) কৃষক, উদ্যোক্তা বা এমএসএমই-এর জন্য উদ্ভাবনী আর্থিক উপকরণ ডিজাইন করা, পরীক্ষা করা এবংমাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা।

ট) জলবায়ু অভিযোজন এর উপর শিক্ষণীয় উপকরণ প্রস্তুত, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নলেজ শেয়ার করা এবং উন্নত Monitoring, Evaluation and Learning (MEL) কাঠামো তৈরী ও ব্যবহার করা।

ঠ) অভিযোজন সম্পর্কিত তথ্যসমূহ প্রচারের মাধ্যমে অংশীজনদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।